
নিরীহ নিরস্ত্র একদল মানুষের সমাবেশের চলছে প্রস্তুতি ।চলছে মন্ঞ তৈরীর কাজ ।মাসুম মুজাহিদ জসীম হাবিবুরদের ঈদের কাপড়ের ভাজ তখনো ভাঙ্গেনি ।হ্নষ্টপুষ্ট হয়নি তখনো রমজানের কঠিন পরীক্ষায় শুকিয়ে যাওয়া ভেজা ঠোটগুলো।হঠাত্ ওদের দিকে ধেয়ে এল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত খুনের নেশায় উন্মত্ত একটি বাহিনী ।ঝড়ে পড়ল কয়েকটি প্রাণ ।লগি বৈঠার আঘাতে মাটিতে ঢলে পড়ল
মুজাহিদ জসীম ও আরো অনেকের দেহ ।আঘাতের পর আঘাতে থেতলে গেল তাদের মস্তিস্ক প্রবাহিত হলো টাটকা রক্তের স্রোতস্বিনী ঢাকার কালো রাস্তার পিচে।কয়েকজনের মাথার মগজ বেরিয়ে ছিটকে পড়ল রাজপথে ।অঝোর ধারায় প্রবাহিত রক্তকণিকা দেখার পরও সাহস করে ওরা উঠে দাড়াতে চেয়েছিল ।তখন তা দেখে হো হো করে হাসছিল অমানুষগুলো ।থেতলে দিল মগজ ।ভেঙ্গে দিল ওরা তারুনত্দীপ্ত তেজস্বী ঘাড়গুলো ।চুর্নবিচুর্ন করে দিল ওরা তাদের বুকের পাজরগুলো ।উপর্যুপরি আঘাতে যখন যখন মুজাহিদ লুটিয়ে পড়ল মাটির ধুলোয় দু পায়ের হিংস্র জন্তুগুলো তার পালস দেখে নিশ্চিত করল মৃতু্¨ এবং লাশের উপর উঠে নূত¨ করতে দ্বিধাবোধ করলানা হায়েনার দল ।এ যেন আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ ।অমানবিকতার হিংস্রতম রুপ ।
সভত্ বিশ্বের অনত্তম মেগাসিটির রাজপথে খুচিয়ে খুচিয়ে সাপের মতো পিটিয়ে ঠান্ডা মাথায় দিনের আলোয় খুনের অমানবিক দৃষত্পট চেঙ্গীসি বর্বরতা কিংবা হিটলারের অমানবতাকে বহুদুর ছাড়িয়ে গেছে ।পাশবিকতার নগ্ন রুপ প্রত্ক্ষ করল বিশ্ববিবেক ।২৮ শে অক্টোবর জাতির জীবনে এক রক্ত ভেজা ইতিহাসের জন্ম দিয়ে গেছে ।যে ইতিহাস এতই বেদনার যা কখনো ভুলবার নয় মুছবার নয় বরং চির অমলিন এক স্বৃতি জাগানিয়া হৃদকম্পন ।হেসে খেলে মানুষ খুনের লাইসেন্স এরা
পেল কোথায় ?
সন্ত্রাসীরা এই দিনকে ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে রচিত করেছে! সারা দেশে একযোগে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের আল্লাহভীরু, ইসলামপ্রিয় ভাইদের উপর সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে দিনে দুপুরে, প্রকাশ্যে হায়েনাদের মত পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছিল আওয়ামিলীগের সন্ত্রাসীরা। ইসলামী আন্দোলনের এই ভাইদেরকে হত্যা করেই ওরা থেমে যায়নি, মারা যাওয়ার পরে লাশের উপর উঠে নৃত্য করতেও দ্বিধাবোধ করেনি এই মানুষরুপী পশুরা। কি অপরাধ ছিল আমার এই ভাইদের? কোন অপরাধে তাদের উপর এমন অমানবিক আচরন করা হল??? হ্যা তাদের অপরাধ ছিল তারা মানুষকে সত্যের দিকে আহবান করত, খারাপের দিক থেকে মানুষদেরকে বিরত রাখত, তারা চেয়েছিল সমাজে/রাষ্ট্রে আল্লাহর আইনকে প্রতিষ্টিত করতে। এটাই যদি তাদের অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে সত্যিকার অর্থে এটা তো কোন অপরাধই নয়, তাহলে কেন তাদের হত্যাকারী, সন্ত্রাসীদেরকে বিচারের কাটগড়ায় দাড় করানো হচ্ছেনা? অবশ্যই দুনিয়াতে এই হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার হবে কি না তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, কিন্তু সকল বিচারকের বড় বিচারক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই চরম অপরাধে অপরাধীদেরকে ছাড় দিবেননা-ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ যেন এদের বিচার করেন এই দোয়া'ই করি এবং যারা ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করলো আল্লাহ যেন তাদেরকে শহীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদেরকেও যেন আল্লাহ মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন-আমীন।
www.timesoffeni.com
No comments:
Post a Comment
www.facebook.com/md.robinkhan.501